পঞ্চগড়ের চাওয়াই নদীর তীরে দুই দিন ধরে হাজারও উৎসুক মানুষের ভিড়। নদীর গভীরে থাকা বিশাল আকৃতির একটি পাথরকে ঘিরে ছিল ঔৎসুক্য।
সদর উপজেলার সালটিয়াপাড়া এলাকায় বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাথরটি উদ্ধার করেন।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা ছিল, এটি কষ্টিপাথর। কিন্তু উদ্ধারের পর জানা গেল, তা সাধারণ পাথর। এর ওজন প্রায় ৪০ মণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চাওয়াই নদী থেকে শ্রমিকরা পাথর তোলার সময় পানির নিচে বিরাট ওই পাথরটির সন্ধান পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক মানুষ সেটি দেখতে জড়ো হয় ওই স্থানে।
কিন্তু পানির বেশ গভীরে থাকায় পাথরটি ওঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। স্থানীয় লোকজন বুধবার সকালে মেশিন দিয়ে পানি তুলতে শুরু করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পঞ্চগড় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
পরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে উদ্ধারে যোগ দেয় পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস। বিকেলে পাথরটি উদ্ধার করেন তারা।
ইউএনও আরিফ বলেন, ‘স্থানীয়রা কষ্টি ভেবে পাথরটি উত্তোলনের চেষ্টা করেন। পরে আমরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাথরটি উদ্ধার করি। এর ওজন প্রায় ৪০ মন।
‘প্রত্নতাত্ত্বিকদের পাথরটি আমরা দেখিয়েছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন পাথরটি সাধারণ পাথর। এত বড় পাথর হওয়ায় এটি নিয়ে লোকজনের আগ্রহ আছে। এ কারণে এটি পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হবে।’