মেহেরপুর সদর উপজেলায় ওরস্যালাইনের সঙ্গে রাসনা মিশিয়ে শরবত পান করে অচেতন হয়ে পড়েছেন নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য।
উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী রেবেকা খাতুন, তাদের দুই সন্তান মৌসুমী খাতুন ও রিফাত আলী এবং মৌসুমির ছেলে শানজিম রহমান।
পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড গরমে ওরস্যালাইন ও রাসনার শরবত বানিয়ে তা পান করেন তারা। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ একেক করে সবাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতালে কিশোর রিফাতের জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে রাতে বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে ওরস্যালাইন আর রাসনা কিনে আনে তার বোনের ছেলে শানজিম।
তারপর দুইটি একসঙ্গে শরবত বানিয়ে পান করে তারা। কিছুক্ষণ পর মাথা ঝিনঝিন করে জ্ঞান হারায় সবার। এর মধ্যে শানজিম ও মৌসুমির কয়েকবার বমি হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুব-এ-খোদা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গরমে খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। আর রাসনা নামের যে জিনিসটি তারা খেয়েছেন সেটি নিম্নমানের হওয়াতেও এ সমস্যা হতে পারে।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে অন্যদের জ্ঞান ফিরলেও সিরাজুল ইসলামের জ্ঞান ফেরে শুক্রবার সকালে। তার বয়স বেশি হওয়ায় তার সুস্থ হতে সময় লাগছে।’