ভোলার মেঘনা নদীতে একটি ফেরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদারকে প্রধান করে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহসিন আল ফারুক, ভোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক ফারুক হোসেন ও ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জেলার বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। তিনি জানান, জেলা প্রশাসন আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এ তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
- আরও পড়ুন: মাঝনদীতে ফেরিতে আগুন, পুড়ল ৯ যান
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন ভোলার ম্যানেজার মো. পারভেজ জানান, ফেরিতে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের ককসিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা যায়। এ ঘটনায় ফেরিতে থাকা গাড়ির চালকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
ফেরির মাস্টার মো. জমশেদ আলী বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরে একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) করেছেন।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভোর রাতে ১৯টি গাড়ি নিয়ে ফেরিটি লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলায় যাচ্ছিল। এর মধ্যে আগুনে ৯টি যানবাহন পুড়ে যায়।
আগুনে ৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিটি লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর ঘাট এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগুন লাগার সময় ফেরিতে থাকা যাত্রীরা বিভিন্ন ট্রলারে আশ্রয় নেয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাট থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ নিয়ে ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফেরি কলমিলতা। ভোর ৪টার দিকে ফেরিটি মেঘনার নদীর মাঝখানে এলে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়।
খবর পেয়ে ভোলা থেকে অন্য একটি ফেরিতে করে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড গিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়।