বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওড়াকান্দিতে কাল হচ্ছে না স্নানোৎসব ও মেলা

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:১২

ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি শচীপতি ঠাকুর বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এ বছর বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা হবে না। এ নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনা হবে।

করোনা মহামারির কারণে এ বছরও হচ্ছে না গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়িতে বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা।

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিশ্চিত করেন কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

শুক্রবার হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১০তম জন্মদিবস। এই দিন স্নানোৎসব ও মেলা হবার কথা ছিল।

২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ি ঘুরে যাওয়ার পর থেকে স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার আশায় ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন।

মতুয়া কারা

মতুয়ারা হলো হিন্দুদের একটি সম্প্রদায়, যারা উনিশ শতকের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুর ও তার পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রবর্তিত মতবাদের অনুসারী। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম ওড়াকান্দির পাশের সাফলিডাঙ্গা গ্রামে। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে বিবাদের জেরে তিনি ওড়াকান্দি এসে বসতি গড়েন। সেই বাড়িই এখন ‘ঠাকুরবাড়ি’ হিসেবে পরিচিত, যা উপমহাদেশে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ মতুয়ার কাছে এক পুণ্যভূমি।

নমশূদ্র সম্প্রদায়ের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর ও তার ছেলে গুরুচাঁদ ঠাকুর।

স্নানোৎসব অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মতুয়ারা ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়িতে আসেন। তাদের হাতে থাকে বিজয় ও সত্যের লাল নিশান। ডঙ্কা (বড় ঢোল) বাজিয়ে উলুধ্বনি দিতে দিতে মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দেন তারা।

ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি শচীপতি ঠাকুর বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এ বছর বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা হবে না। এ নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে হতাশা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনা হবে।

ঠাকুরবাড়ির অপর সদস্য ও কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এ বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা হওয়ার কথা ছিল আগামীকাল। সেটি না হলেও শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা-অর্চনা হবে। যেহেতু এ বছর স্নানোৎসব ও মেলা হবে না, সে কারণে ভক্তদের তিনি এখানে না আসার জন্য আহ্বান জানান।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় নিউজবাংলাকে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ স্নানোৎসব ও মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর