বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালের ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৪৯

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা ফি'র ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জাহানারা খানম লাকির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ।

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের বিভিন্ন খাতের সেবা ফি’র প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জাহানারা খানম লাকির অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ।

একই সঙ্গে ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্তের বয়ান জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

তদন্ত করতে সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালটেন্ট আকরাম হোসেনকে সভাপতি ও আরএমও আ.ফ.ম মশিউর রহমান বাবুকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, জাহানারা খানম লাকি ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই নড়াইল সদর হাসপাতালে হিসাবরক্ষক হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পর বহিঃবিভাগ, জরুরি বিভাগ, রোগী ভর্তি, প্যাথলজি, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, কেবিন, অ্যাম্বুলেন্স, অপারেশন, কোভিড-১৯ বাবদ ফিসহ অন্যান্য ফি হাসপাতালে সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে নেয়া হয়। এসব ফি সোনালী ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয়।

সদর হাসপাতালের এসব ফি’র টাকা হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের নড়াইল সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় জমা দেয়ার কথা। কিন্তু ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০ মাসে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়নি। টাকা জমা না দিয়ে জাল চালান দেখানোর অভিযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, একইভাবে এর আগের হিসাবরক্ষক মাহফুজুর রহমান সাত বছরের সেবা ফি’র প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা দেননি। বিষয়টি অডিটে ধরা পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোর কার্যালয়ে মামলা হয়, যা এখন বিচারাধীন।

এ বিষয়ে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস শাকুর বলেন, ‘প্রতি বছর অডিট হওয়ার কথা, কিন্তু অডিট হয় ৪-৫ বছর পর। নিয়মিত অডিট হলে এমন সমস্যা হতো না।’

টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তিনি জানান, সেবা ফি’র টাকা প্রতিটি বিভাগ থেকে লিখিতভাবে গ্রহণ করেন হিসাবরক্ষক। হিসাবরক্ষক জাহানারা খানমের ওই টাকা প্রতি মাসে নড়াইলের সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার কথা। কিন্তু তিনি না দিয়ে জাল চালান দেখান। বিষয় সন্দেহ হলে যাচাই করার পর মঙ্গলবার এর সতত্যা পাওয়া যায়।

আব্দুস শাকুর জানান, ওই টাকা ব্যাংকে তিন দিনের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য জাহানারা খানমকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। জাহানারাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

নড়াইল সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখার ম্যানেজার আবু সেলিম বলেন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক যেসব চালান নিয়ে ব্যাংকে এসেছিলেন তার কোনোটিই ব্যাংকে জমা পড়েনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহানারা খানম বলেন, ‘কিছু টাকা জমা দেয়া হয়নি। তা এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিয়ে দেব।’

তবে জাল চালান তৈরির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। কত টাকা জমা দেননি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিভাগের আরো খবর