বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একপাশ তালা, একপাশ খোলা

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৩১

দুপুরে নগরীর রামবাবু, সি-কে ঘোষ রোড, বড় বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা দোকানের একপাশ তালা দিয়ে, একপাশ খোলা রেখে চালাচ্ছেন ব্যবসা। দোকানের বাইরে দুইজন  বসে থাকেন । পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ আসছে দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে শাটার বন্ধ করে দেন। আবার প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবার একপাশ খোলা রেখে বেচাবিক্রি করেন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে শপিং মলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও অনেকেই তা মানছেন না ।ময়মনসিংহে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অনেক দোকানপাট অর্ধেক শাটার খোলা রেখে আবার কেউ কেউ শাটার বন্ধ করে পেছনের দরজা দিয়ে দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন। দুপুরে নগরীর রামবাবু, সি-কে ঘোষ রোড, বড় বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা দোকানের একপাশ তালা দিয়ে, একপাশ খোলা রেখে চালাচ্ছেন ব্যবসা। দোকানের বাইরে দুইজন বসে থাকেন। পুলিশ বা প্রশাসনের কেউ আসছে দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে শাটার বন্ধ করে দেন। আবার প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবার একপাশ খোলা রেখে বেচাবিক্রি করেন।এভাবে লুকোচুরি করে পণ্য বেচা বিক্রি নিয়ে কথা হয় রামবাবু রোডের সাগর ইলেকট্রিক হাউজ নামে দোকানের মালিক নারু গোপাল সরকারের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে গত এক বছর ধরেই বেচাবিক্রি কম। দোকানের কর্মচারিদের বেতন, দোকানের ভাড়া,কারেন্ট বিল সবই নিয়মিত দিতে হচ্ছে। এখন যদি একেবারে বন্ধ রাখি আমাদের রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নাই, তাই জীবনের তাগিদেই সরকারি নিয়ম মানতে পারছি না।’সাগর ইলেকট্রিকের পাশে দুলাল ইলেকট্রিক। এর মালিক দুলাল মিয়া বলেন, ‘এখন গরমের সিজন। এ সময় আমাদের পণ্য বিক্রি বেশি হয়। করোনার কারণে এক বছর ধরে বিক্রি কম। দোকান ভাড়া, কারেন্ট বিল দেয়া এখনও বাকি আছে। এখন যদি দোকান বন্ধ রাখি তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে, তাই সামনে বন্ধ রেখে পরিচিত যারা আসেন, তাদের কাছে অল্প করে বিক্রি করছি।’কথা হয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনতে আসা আবদুল সামাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন বাসার কাজ করাচ্ছি, সব কাজই শেষ। এখন বৈদ্যুতিক ফ্যান কিনতে আসছি।’ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর সাহা একপাশ দোকান খোলা রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘নগরীতে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, আমরা তাদের বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।’ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য দোকান খোলা রাখা যাবে না, যারা নিয়ম ভঙ্গ করে দোকান করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর