সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় করা মামলায় জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হরিপুর সাতঘরিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও স্যার এফ রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল খানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আবুল হাসেমকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ২৯ জনের নামে ধর্মপাশা থানায় মামলা করেছেন ছাত্রলীগের ওই নেতা।
লাঞ্ছিত আফজাল জানান, তার সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হরিপুর সাতঘরিয়া গ্রামের আবুল হাসেম আলমের ছেলে আল মোজাহিদের বিরোধ ছিল।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের হামলা ও আক্রমণের কিছু ছবি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করি যা কাজে লাগিয়ে মোজাহিদ ধর্ম অবমাননা এবং আল্লাহ-রাসুলের সমালোচনা হিসেবে প্রচার চালিয়ে এলাকাবাসীকে ক্ষুব্ধ করে।
‘আমি গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে জয়শ্রী বাজারে ঘুরতে গেলে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে হেফাজত সমর্থকরা। পরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয়ে নিয়ে আমাকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করে।’
আফজাল আরও বলেন, ‘তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখলে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতিকে জানাই। তিনি সুনামগঞ্জের এসপিকে ফোন করলে পুলিশ এসে আমাকে আটক করে হাতকড়া পরায়। এ সময় জোর করে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম আলম ও যুবলীগ নেতা এনায়েত আমাকে বাধ্য করে হাতকড়া পরে ক্ষমা চাইতে।’
এরপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বুধবার বিকেলে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।