বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিতা হত্যায় অভিযুক্ত তিন পুত্র

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:২১

আদালতের নির্দেশে বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবুল হাশেমের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক হাওলাদারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ব্যবসায়ি আব্দুল মালেক হাওলাদারের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে নিজ পরিবারে। স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন একমাত্র জামাতা আসাদুল হক পাইক ওরফে বুলু। মালেকের তিনপুত্রসহ সাতজনকে দায়ী করে তিনি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালতের নির্দেশে বুধবার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

স্বজনরা জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের প্রবীন ব্যবসায়ি আব্দুল মালেক হাওলাদার গত ৮ মার্চ রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান। পরদিন সকালে যথাযথ ধর্মীয় রীতি মেনে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে মালেক হাওলাদারের জামাতা আসাদুল হক পাইক ওরফে বুলু বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করেন। শ্বশুরকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে তিনি গত ১৫মার্চ বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন। আসামি করা হয় মালেক হাওলাদারের তিন ছেলে, পুত্রবধূসহ সাত জনকে। আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। গত ১৭মার্চ রাতে ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার নালিশী অভিযোগটি হাতে পেয়ে মামলা হিসেবে থানায় রেকর্ড করেন।

আইনী প্রক্রিয়ায় আদালতের নির্দেশে বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবুল হাশেমের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক হাওলাদারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হাসপাতালের ডা.জাহেদ হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলামসহ সংশ্লিস্টরা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।

ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, মালেক হাওলাদারের তিন পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। মেয়ে লাইলী পারভীন নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেন। এজন্য ক্ষুদ্ধ মালেক তাকে বাদ রেখে তিন ছেলের নামে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেন। এ পর্যায়ে জামাতা বুলু সম্পত্তি জোর পূর্বক তিন ছেলে লিখে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে আদালতে নালিশ করেন। ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি স্ত্রী জাহান আরা বেগম মারা যাওয়ার পর মালেক কন্যাকে কিছু সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য ছেলেদের অনুরোধ করেন। কিন্তু ছেলেরা তাদের বোনের নামে কোন সম্পত্তি লিখে দেননি।

মামলার বাদি আসাদুল হক পাইক ওরফে বুলু অভিযোগ করেছেন, ৮ মার্চ রাতে আব্দুল মালেক হাওলাদার তিন ছেলেকে ডেকে তাদের বোন লাইলী পারভীনের নামে কিছু সম্পত্তি লিখে দিতে বলেন। এ নিয়ে পিতা ও ছেলেদের মধ্যে রাতে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় তিন ছেলেসহ অন্যরা বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মালেকের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরদিন তড়িঘড়ি করে মালেক হাওলাদারের মৃতদেহ দাফন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর