সরকারঘোষিত সাত দিন লকডাউনের প্রথম দুদিনের দিনের চেয়ে তৃতীয় দিন বুধবার যান ও মানুষ চলাচল বেড়েছে কক্সবাজারে।
সড়ক ও অলিগলিতে জড়ো হয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে মানুষকে। দোকানপাট-শপিং মল বন্ধ থাকলেও ঘরে থাকছে না মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা অনেকে।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার শহর ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।
সোমবার হোটেল-মোটেল জোনসহ কক্সবাজার শহরে কিছু দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে সাড়ে চারশ ছোট বড় হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ।
সমুদ্র সৈকতের সবকটি পয়েন্ট বন্ধ রয়েছে। ফলে জনশূন্য সৈকত। জনসমাগম ঠেকাতে সেখানে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।
প্রধান সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা ও সিএনজি অটোরিকশা, জরুরি পরিসেষায় নিয়োজিত সরকারি গাড়ি ও নিত্যপণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের চলাচল চোখে পড়েছে।
কক্সবাজার থেকে দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শহরে অধিকাংশ বড় মার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, মুদির দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে।
লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ। সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ছয়টি টিম লকডাউন কার্যকর করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচারনা চালিয়েছে। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছে।
লকডাউনের প্রথমদিন সরকারি নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে শহরের প্রধান সড়ক, বড় বাজারসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।
এ সময় অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে অবস্থানরতদের ঘরে ফিরে যেতে মাইকিং করার পাশাপাশি বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
অপরদিকে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ বাস টার্মিনাল, লিংক রোড সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তৎপরতা চালায়।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সংক্রমণের উর্ধ্বগতি কমাতে সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আমাদের চারটি টিম আছে। পুলিশ বিভাগের সমস্ত কর্মকর্তা এখানে কাজ করছেন। আমরা নিজেরাও এটা মনিটর করছি।’
গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ (কয়েক) ল্যাবে করোনা পরিক্ষায় ৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।