বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেঁচে যাওয়া সেই পাভেল এখনও শঙ্কামুক্ত নন

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৫৪

রাজশাহীর কাটাকালীতে গত ২৬ মার্চ বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আরোহী ১৮ জনের ১৭ জনই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান কলেজছাত্র পাভেল মিয়া।

রাজশাহীর কাটাখালীতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী পাভেল মিয়াকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।

ওই দুর্ঘটনায় আরোহী ১৮ জনের ১৭ জনই নিহত হন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান পাভেল মিয়া।

পাভেলের বাড়ি রংপুরে হওয়ায় গত রোববার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দিয়েছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পাভেল বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চম তলার ১৯ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান হাবিব নিউজবাংলাকে জানান, ‘পাভেলের মাথার আঘাত গুরুতর। তার অবস্থা এখনও ভালো বলা যাচ্ছে না। সে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।’

পাভেলের চাচাতো ভাই মো. সাগর মিয়া বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে রাজশাহী থেকে রংপুরে আসার পর তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করলে সে চোখ মেলে তাকায়, কিন্তু কিছু বলতে পারে না। এখনও তার সেন্স নেই বললেই চলে।’

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক মোকাদ্দেম আলী জানান, পাভেলকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রংপুরের পীরগঞ্জের ১৭ জন নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় পাভেলের বাবা মোখলেছার রহমান ও মা পারভীন বেগম নিহত হন। পাভেলের বাড়ি পীরগঞ্জের রায়পুর ইউনিয়নের দাড়িকাপাড়া গ্রামে। তিনি রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

পীরগঞ্জের কয়েকটি ব্যবসায়ী পরিবারের ১৭ সদস্য রাজশাহীতে বেড়াতে যান। ওই দিন বেলা সোয়া ২টার দিকে কাটাখালী থানার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর