মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুস সালামের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি তার ছেলে রাশেদ মানিকের। তবে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ মেয়রের স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মেয়র হাজি আব্দুস সালামের বাসায় মঙ্গলবার রাতের ওই বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন চার কাউন্সিলরসহ অন্তত ১৩ জন। এর মধ্যে মেয়রের স্ত্রী কানুন বেগমসহ ১২ জনকে রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। একজন মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, গতকাল রাতেই বোমা নিষ্ক্রিয় একটি দল ও জেলা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে তাদের কাছে এটা কোনো বোমার বিস্ফোরণ মনে হয়নি। গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এ ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
তবে মেয়রের ছেলে রাশেদ নিউজবাংলাকে জানান, তাদের বাসায় মঙ্গলবার গ্যাস ছিল না লাইনে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা হয় না। আর গতকাল দিনভর লাইনে গ্যাস ছিল না। বিস্ফোরণটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।’
বিস্ফোরণের সময় মেয়রের সঙ্গে কাউন্সিলরদের মিটিং চলছিল বলে জানা গেছে।
পৌরসভার মিটিং রাতে কেন হবে ও সেটা মেয়রের বাসায় কেন হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা বলেন, মিটিংটা অনির্ধারিত ছিল। হঠাৎ করে এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে তারা রাতে মেয়রের বাসায় যান।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল জানান, সেখানে ভর্তি ১২ জনের মধ্যে পৌর মেয়রের স্ত্রীর অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে।
- আরও পড়ুন: মেয়রের বাসায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১৩
বাকি ১১ জনের মধ্যে একজনকে ভর্তি রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের শরীরের ৩ থেকে ২০ শতাংশ পুড়েছে।
পৌর মেয়রের বাসায় দরজায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি করে থেকে লোকজন বেরিয়ে যাচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের জিনিসপত্র ছিটকে পড়েছে।