চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। এখনও দুই জেলের খোঁজ মেলেনি।
হাইমচর উপজেলার চর ভৈরবী এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে দুইজনের এবং একই এলাকা থেকে সোমবার রাতে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন আলমগীর হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী দেওয়ান ও মুনসুর আলী বেপারী।
হরিণা নৌ-ফাঁড়ির পরিদর্শক নাছিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত জেলেদের বাড়ি সদর উপজেলার গোবিন্দিয়া গ্রামে।
এখনও নিখোঁজ জেলেরা হলেন, চান্দ্রা ইউনিয়নের হানিফ মাল এবং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জাকির হোসেন।
সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ি বলেন, গত রোববার এই জেলেরা জাটকা ধরতে মেঘনায় যান। হঠাৎ সন্ধ্যায় কালবৈশাখির কবলে পড়ে তাদের নৌকা। তখন থেকেই তাদের খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয় লোকজন সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে মেঘনায় মরদেহগুলো ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন।
নৌ-ফাঁড়ির পরিদর্শক নাছিম উদ্দিন বলেন, মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সাহনাজ নিউজবাংলাকে বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত জেলেদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
জাটকা সংরক্ষণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার এলাকা। ইউএনও জানান, নিষেধাজ্ঞা না মেনে কিছু জেলে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন। তাদেরকে নির্দেশ মেনে নদীতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান ইউএনও।