নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের সমর্থকদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কাদের মির্জার সমর্থক সহিদুল্লাহ রাসেল, মো.ইউসূফ, সুজন এবং খিজির হায়াত খানের সমর্থক নূর রহমান রাহিম, করিম উদ্দিন শাকিল ও রাকিব (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনের পর থেকে কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল ।
ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌরসভার করালিয়া এলাকার চক্ষু হাসপাতালের সামনে কাদের মির্জার সমর্থক সহিদুল্লাহ রাসেল এবং খিজির হায়াত খানের সমর্থক শাকিল ও রাহিমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এ সময় তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় তাদের সমর্থকরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সহিদুল্লাহ রাসেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে খিজির হায়াত খানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সংঘর্ষ শেষে কাদের মির্জার সমর্থকরা হামলার শিকার ছাত্রলীগ কর্মী শাকিলের বাড়িতে ফের হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।
কাদের মির্জার অভিযোগ, খিজির হায়াত খান ও রাহাতের লোকজন তার নিরীহ কর্মীদের উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় তার ৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মঙ্গলবার গরিব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি। ওই ত্রাণ বিতরণকে ব্যাহত করতে বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পপিতভাবে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তার এক কর্মী মুমূর্ষ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন বলে জানান কাদের মির্জা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, দলীয় কোন্দলের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।