সারা দেশে লকডাউনকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের চাপ পড়েছে। ঘাট পার হওয়ার জন্য ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কারসহ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ১২ শ গাড়ি।
সোমবার রাত ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় যানবাহনের এই দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার নির্দেশনায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও চলছে সীমিতসংখ্যক ফেরি। ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ঘাটে উপস্থিত যাত্রীরা। এ সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। দুপুর দুইটার দিকে ৩ নম্বর ফেরি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
ঘরমুখী অনেক যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পদ্মা নদী পার হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ ) মেরিন কর্মকর্তা আলী আহমদ জানান, লকডাউনের প্রথম দিন সকালে যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও দুপুর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে ভিড় করে। ঘাটে অপেক্ষা করা গাড়িগুলোর বেশির ভাগই প্রাইভেট কার।
নৌরুটে এখন তিনটি ফেরি সচল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক হিলাল উদ্দিন জানান, ঘাটে ভিড় করা যানবাহনগুলোকে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, সকাল থেকেই ঘাটে পুলিশ ছিল। দুপুরে ঘাটে যাত্রীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।