বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিজিবির তিন লাখ টাকা নিয়ে’ নিখোঁজ ১ সদস্য

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৫৭

বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী বলেন, ‘বিজিবি সদস্যদের তিন লাখ টাকা ছাড়াও হবিগঞ্জ শহরের রাজনগরে অবস্থিত স্কাইডেস্ক কমিউনিকেশন থেকে ১৮ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার নিয়মিত লেনদেন ছিল। আমরা বিভিন্ন স্থানে তার সন্ধান করছি।’

হবিগঞ্জে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্প থেকে তিনি দিন ধরে এক বিজিবি সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। তবে বিজিবি কর্মকর্তাদের ধারণা, ওই সদস্যের কাছে বিজিবির তিন লাখ টাকা ছিল। এটি নিয়ে তিনি পালিয়ে যেতে পারেন।

সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান বিজিবির ৫৫ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী।

নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের নাম বরুণ বিকাশ চাকমা। তিনি বিজিবির সৈনিক হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ধুলিয়াখাল ক্যাম্পের ক্যান্টিনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি দুরপর্য্যানাল এলাকায়।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে শনিবার রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান সামিউন্নবী।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবি সৈনিক বরুণের কাছে বিজিবি সদস্যদের তিন লাখ টাকা ছিল। কিন্তু গত শনিবার সকাল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী আরও বলেন, ‘বিজিবি সদস্যদের তিন লাখ টাকা ছাড়াও হবিগঞ্জ শহরের রাজনগরে অবস্থিত স্কাইডেস্ক কমিউনিকেশন থেকে ১৮ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার নিয়মিত লেনদেন ছিল। আমরা বিভিন্ন স্থানে তার সন্ধান করছি।’

স্কাইডেস্ক কমিউনিকেশনের কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক হাসান বলেন, ‘বিজিবি সৈনিক বরুণের সঙ্গে আমাদের প্রায় ছয় থেকে সাত মাস ধরে ব্যবসায়িক লেনদেন চলছিল। প্রতি মাসেই তিনি বিজিবি ক্যাম্পের বিকাশের যাবতীয় লেনদেন করতেন। এপ্রিলের শুরুতে তিনি আমাদের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নেন। শনিবার জানতে পেরেছি তিনি নিখোঁজ। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়েরিতে তারা শুধু বিজিবির তিন লাখ টাকা নেয়ার কথা উল্লেখ করেছে। স্কাইডেস্ক কমিউনিকেশনের ১৮ লাখ টাকার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের সন্ধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর