বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরকারী গ্রেপ্তার

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:০১

সদর উপজেলার বিশ্বরোড এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যুরাল ভাঙার শাবল ও মাদকদ্রব্যসহ তাকে আটক করা হয় বলে দাবি করেছে র‌্যাব ১৪ এর একটি দল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরকারী এক যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি, শাবল ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

ওই যুবকের নাম আরমান আলিফ। শহরের কাজীপাড়ায় ভাড়া বাসা থেকে তাকে গেল শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানান র‍্যাব ১৪ এর অধিনায়ক আবু নাঈম মো. তালাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আবু নাঈম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আলিফকে শনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি চুল-দাড়ি কেটে শহরের কাজীপাড়ায় অস্থায়ী বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার ফুলকান্দি গ্রামে।

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, আলিফকে গ্রেপ্তারের সময় ওই বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। পাওয়া যায় ম্যুরাল ভাঙার কাজের ব্যবহার করা শাবল, একটি অবৈধ পিস্তল, দু্ইটি ম্যাগজিন ও চার রাউন্ড গুলি।

তিনি জানান, আলিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার ছাত্রের মিছিল বের হয়।

শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতার ম্যুরালটিতে তিন দিনের মধ্যে দুইবার আগুন দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

তারা শহরের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে হামলে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে। সেটি ভেঙে আগুন দেয়ার পাশাপাশি তারা আগুন দেয় শহরের রেলস্টেশন, আনসার ক্যাম্প ও মৎস্য অধিদপ্তরে।

হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হয়।

পরদিন মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের ওপর হামলে পড়ে মাদ্রাসাছাত্ররা। তখন পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারায় পাঁচজন।

নিহত ব্যক্তিদের নিজেদের কর্মী দাবি করে প্রতিবাদে রোববার হরতাল ডাকে হেফাজত। হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে ব্যাপক তাণ্ডব।সেদিনও তারা বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সবগুলো স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেয় আগুন।

হামলা চলে পৌরসভা কার্যালয়, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, গণগ্রন্থাগার, সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত ‘সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন’ ও মিলনায়তন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের অফিস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি এবং সরাইলের খাটিহাতা হাইওয়ে থানায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়ার পর সেটি জ্বলতে থাকে

এসব ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৫টি, সরাইল থানায় একটি, আশুগঞ্জ থানায় দুইটি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

১৯ মামলায় ১০৭ জনের নামসহ ও অজ্ঞাত পরিচয় ২২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে কোনোটিতেই হেফাজতের কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এসব মামলা এ পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর