বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউন: কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:৫৭

বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো ঘুরে দেখা গেছে এক এক জায়গায় এক এক চিত্র। কোথাও লকডাউন বাস্তবায়নে কড়াকড়ি কোথাও গা ছাড়া ভাব। বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অযথা ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। তারা স্বাস্থ্যবিধি পালনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

ক‌রোনা সংক্রমণ প্রতি‌রো‌ধে সারা দেশে সরকা‌র ‌ঘো‌ষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকে। এবারের লকডাউনে কোথাও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব আবার কোথাও মানা হচ্ছে কঠোর ভাবে।

সোমবার সকাল থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো ঘুরে দেখেছেন সহকর্মীরা। তাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরা হলো সারাদেশের চিত্র।

বরিশাল

ঢি‌লেঢালা ভা‌বে লকডাউন চল‌ছে ব‌রিশা‌লে। স্বাস্থ্যবি‌ধি মে‌নে খোলা স্থা‌নে বাজার বসানোর নি‌র্দেশনা থাক‌লেও তা মান‌া হচ্ছে না। মহাসড়কে থ্রি হুইলারের চলাচল বেড়েছে। তারা যাত্রী পরিবহণ করছে গাদাগাদি করে। তবে বন্ধ আছে বাস ও লঞ্চ চলাচল। স‌রেজ‌মি‌নে নগরীর নথুল্লাবাদ, রুপাতলী, নতুন বাজার, অমৃত লাল দে সড়ক, বীর‌শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন ম‌হিউ‌দ্দির জাহাঙ্গীর সড়ক, বাংলা বাজার ও বটতলাসহ বি‌ভিন্ন এলাকা ঘু‌রে এই চিত্র দেখা গেছে। যদিও ভোর ৬টা থে‌কে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাই‌রে বের না হতে গণবিজ্ঞ‌প্তি জা‌রি ক‌রেছে প্রশাসন।

বাংলাবাজার এলাকার রাইসুল ইসলাম না‌মে এক যুবক‌কে ঘোরাঘু‌রির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, লকডাউন দেখ‌তে বাই‌রে বের হয়েছেন।

কেনো মাস্ক পরেননি এমন প্রশ্নে রাতুল খান নামে এক যুবক বলেন, ‘লকডাউ‌নে রাস্তা ফাঁকা ভে‌বে বের হ‌য়ে‌ছি। ভে‌বে‌ছি রাস্তায় কেউ নেই তাই মাস্ক প‌রি‌নি।’

ক‌রোনা স‌চেতনতায় ব‌রিশালে বেলা ১১টার দিকে মোটরসাই‌কেল র‍্যালি বের ক‌রে ব‌রিশাল মে‌ট্রোপ‌লিটন পু‌লিশ। র‌্যালিটি নগরীর জিলা স্কু‌লের মোড় থে‌কে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শেষ হয়।

ব‌রিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার নিউজবাংলাকে ব‌লেন, ‘ক‌রোনা থে‌কে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও প‌রিচালনা করা হ‌চ্ছে। অযথা বাইরে বের হবেন না। এতে আপনার পরিবারের সদস্যদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

খুলনা

খুলনা শহরে ভোর থেকেই মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।

সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরীতে টহল শুরু করে। খুলনা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস চলাচল করেনি। তবে নগরীতে ইজিবাইক ও রিকশা চলছে।

খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাষীশ বসাক বলেন, ‘মহানগররীর ছয়টি পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা সরকারের গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

মাগুরা

লকডাউনের শুরুতে মাগুরা শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো খুলতে শুরু করে। এ সব দোকান ও সড়কে বাড়তে থাকে মানুষের সমাগম।

মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত ছিল। মাগুরা থেকে শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলায় লোকাল বাস চলতে দেখা গেছে। যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে কিছু দূরপাল্লার পরিবহনকে।

বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়া মতো। বিশেষ করে পুরান বাজার, নতুন বাজার ও পুলিশলাইন বড় বাজারে ক্রেতার সমাগম ছিল বেশি। শহরের ইটখোলা বাজারে চাল নিতে আসা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘চাল তো নিতি হবি। লকডাউন দিয়ে আমাগের পেট ভরবে? না বাবা।’

রোভার স্কাউট দলনেতা মহিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা সচতেনা বাড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাস্ক দিচ্ছি।’

জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, সরকারের নির্দেশনা সবাইকে মানতে হবে। প্রথম দিনে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে এর পর ব্যবস্থা নেব। কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউন। সকাল থেকে বিভিন্ন রুটের বেশ কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়।

শহরে যান চলাচল ও কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড় রয়েছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে মাঠে প্রশাসনের মোবাইল টিমও কাজ করছে।’

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে সরকারি নিষেধ মেনে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও শহরের ভেতরে অটোরিকশা চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস মোড়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন যাত্রী সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাকে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।নগরীর বড় কাঁচা বাজার মেছুয়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ছিল উপচে পড়া।জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’

নেত্রকোণা শহরের আগের মতোই চলেছে যানবাহন। ছবি: নিউজবাংলা

নেত্রকোণা

নেত্রকোণা শহরের বারহাট্রা রোড, তেরী বাজার, ছোটবাজার, মোক্তারপাড়া, বড়বাজার, সাতপাই এলাকায় লকডাউনে আগের মতোই চলেছে যানবাহন।

শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা অনুপ দাস ছোট বাজারে একটি ওষুধের দোকানে যান। সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউন চলতাছে। এইডা বোঝার কোনো উপায় নাই। প্রয়োজনীয় ছাড়াও এমনি দোকানও খুইল্যা বেঁচতাছে। এই অবস্তা চললে কী যে অইব।’

সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, জেলায় করোনা অক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।

জামালপুর

লকডাউনের প্রথম দিনেই ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশার দখলে ছিল জামালপুর শহর। খোলা আছে ছোটখাটো দোকনপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

প্রশাসনের নজরদারির অভাবে কিছু দোকানি নানা অজুহাতে দোকান খোলার সুযোগ নিয়েছে।

অটোরিকশার চালক সানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়িত কোনো খাবার নাই। পকেটে টাকাও নাই। দুই একটা টিপ মাইরে বাজার কইরে বাড়িত যামুগা। এহন করোনা হইলেই কি আর না হইলেই কি।’

স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে লকডাউনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এতে কোনোভাবেই করোনার সংক্রমণ কমবে না।’

তবে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান জানান, প্রথমদিনে মানুষ হয়তো বুঝে উঠতে পারছে না। শুধু পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতিত সব ধরনের যানবাহন ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ শুরু করেছে ।

চট্টগ্রাম গণপরিবহন না থাকলেও চলতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার। ছবি: নিউজবাংলা

চট্টগ্রাম

বন্দরনগরীর সড়কে প্রথম দিন গণপরিবহন না থাকলেও চলতে দেখা গেছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন।

কেউ অফিস, কেউ বাজারে কেউ বা হাসপাতালে যাচ্ছেন। এতে রাস্তাঘাটে জনসমাগম দেখা গেছে। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হলেও অনেককে দেখা গেছে তা অমান্য করতে। যার ফলে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, কাস্টম মোড়, ইপিজেড, টাইগারপাস, কদমতলী, নিউমার্কেট এলাকার রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সকালে জিএসি এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চালক হাবিব মিয়া। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। সারাদিন আয় না করলে রাতে পেটে ভাত জুটবে না। তাই আমগো কিসের লকডাউন।’

জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, ‘নগরে ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া নগরের তিনটি প্রবেশপথে বিআরটিএ-এর ম্যাজিস্টেটরা দায়িত্ব পালন করছেন।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে গণপরিবহন চলছে, দোকানপাটও রয়েছে খোলা। ঠিকমতো স্বাস্থবিধিও মানছে না অনেকে।

পৌরসভা, দালাল বাজার, জকসিন, মান্দারী, মজু চৌধুরীর হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্যমতে জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৮ জনে। এ জেলায় করোনাতে ৪৩ জন মারা গেছেন।

রংপুর

রংপুরে লকডাউনে রিকশা, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের আধিক্য দেখা গেছে। মানুষও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে।

স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে।

প্রধান সড়কের দুইপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট বন্ধ থাকলেও গলির ভেতর, পাড়া-মহল্লা এবং শহরের বাইরের দৃশ্য ছিল একেবারেই ভিন্ন।

আদালত ছাড়া সরকারি সব অফিসই খোলা রয়েছে। সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা কম। তবে সরকারি কিছু ব্যাংকে উপচে পড়া ভিড় ছিল।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট (গণমাধ্যমের দায়িত্বে) মাহমুদ হাসান মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে আমরা কাজ করছি। শহর এবং শহরে বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদে সঙ্গে নিয়ে টহল দিচ্ছি।’

সিলেটে

লকডাউনের প্রথম দিনে সিলেটে দেখা গেছে অনেকটা ঢিলেঢালাভাব। অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম তবুও সোমবার সকাল থেকেই সিলেটের সড়কে চলাচল করছিল রিকশা, অটোরিকশা। মানুষজনের চলাচলও কম নয়।

বড় বড় বিপণীবিতানগুলো বন্ধ হলেও খোলা রয়েছে অন্যান্য দোকানপাট। অনেকে অর্ধেক সাটার বন্ধ রেখেও দোকানপাট খোলা রেখেছেন। ব্যাংক ছাড়া বেশিরভাগ অফিসই বন্ধ রয়েছে।

নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে চলাচল করছে রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলাচল করছে। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল।

খোলা রয়েছে অনেক দোকানপাট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দোকানও খোলা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। প্রথমে আমরা জনগনকে বুঝাতে চেষ্টা করছি। এতে কাজ না হলে কঠোর হবে।

রাজশাহীতে মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। ছবি: নিউজবাংলা

রাজশাহী

লকডাউনে রাজশাহীতে এক ভিন্নচিত্র। মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ব্যবসায়ীরা নামে সাহেববাজারে রাস্তায়। তাদের দাবি, সামনে ঈদ। এই সময়ে তাদের মার্কেট বন্ধ থাকলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন।

দাবি আদায়ে সাহেববাজার বড় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। দোকান খুলে দেয়ার জন্য নানা স্লোগান দেন।

পরে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানান নেতারা।

কাপড় পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম জানান, গতবছর লকডাউনে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন চলছে চলুক, তাদের একটা সময় বেঁধে দিলে সেই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা ব্যবসা করতে চান।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারি। এটি স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে মালামাল পাঠাতে পারবেন। দোকান খুলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ নাই। আমরা এনিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।’

লকডাউনের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বাস চলাচল করেনি। তবে রাস্তায় রিকশা ও অটোরিকশা চলছে। যদিও এ সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম রয়েছে। নগরীর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া মহল্লার ছোট দোকানপাট খোলা আছে।

এ বিভাগের আরো খবর