বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম ঝড়েই ‘প্রজাপতি বাতি’ মাটিতে লুটোপুটি

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৩৯

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বিলশিমলা থেকে ডিঙ্গাডোবা মোড় পর্যন্ত খুঁটিগুলো ভালো আছে। কিন্তু তারপর থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত লণ্ডভণ্ডহয়ে গেছে। গুণে দেখা গেছে ৮৬টি খুঁটি পড়ে গেছে কিংবা হেলে পড়েছে।

রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটির ডিভাইডারে বসানো হয়েছিল দৃষ্টিনন্দন বাতি। খুঁটিগুলোর ওপরের অংশে প্রজাপতির মতো ডানা মেলে থাকা দুই পাশে দুটি করে এলইডি বাতি লাগানো হয়। এ কারণে সড়কটি ইতিমধ্যে রাজশাহীর ‘প্রজাপতি সড়ক নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এসব বাতির প্রতিটি খুঁটি বসাতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। অথচ দুই মাসের মাথায় প্রথম ঝড়েই ৮৬টি খুঁটি হয় উপড়ে পড়েছে, নয়তো হেলে পড়েছে। রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। উপড়ে যাওয়া খুঁটির সংখ্যা প্রায় ৪০টি। আর হেলে গেছে ৪৬টি।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটির ডিভাইডারের মাঝে সড়কবাতিগুলো বসানো হয়। দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পর মোট ১৭৪টি খুঁটি বসানো হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বিলশিমলা থেকে ডিঙ্গাডোবা মোড় পর্যন্ত খুঁটিগুলো ভালো আছে। কিন্তু তারপর থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত লণ্ডভণ্ডহয়ে গেছে। গুণে দেখা গেছে ৮৬টি খুঁটি পড়ে গেছে কিংবা হেলে পড়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক এসএম রেজোয়ানুল হক জানিয়েছেন, রোববার বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে ঝড় শুরু হয়। নগরীর বিনোদপুর এলাকায় যেখানে আবহাওয়া অফিস, সেখানে ঝড় স্থায়ী ছিল ৪টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। তবে নগরীর অন্যান্য এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দমকা হাওয়া বইছিল।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) বিদ্যুৎ বিভাগ ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সড়কবাতি বসানোর কাজটি বাস্তবায়ন করে। এতে ব্যয় হয় পাঁচ কোটি ২২ লাখ টাকা। প্রতিটি খুঁটির জন্য খরচ হয় ৩ লাখ টাকা করে। এসব খুঁটি ও বাতি চীন থেকে আনা হয়।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি সড়কবাতিগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

উদ্বোধনের দুইমাস না যেতেই সড়কবাতিগুলো এভাবে পড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তারা কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকাল ৪টার পর পরই হড়মড় শব্দ করে খুঁটিগুলো সড়কের আইল্যান্ডের ওপর পড়তে থাকে। সড়কের আইল্যান্ডে না পড়ে সড়কে পড়লে ঘটতে পারতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

তুলনামুলক কম শক্তিসম্পন্ন ঝড়েই সড়কবাতির খুঁটি পড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক) রেয়াজাত হোসেন রিটু বলেন, ঝড়ের কারণে খুঁটিগুলো হেলে পড়েছে। কিছু পড়ে গেছে। আমাদের ওয়ারেন্টির সময় আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজ দায়িত্বে আবার সব ঠিক করে দেবে।

তিনি জানান, সড়কবাতির খুঁটিগুলো একটি কংক্রিটের ওপর বসানো হয়েছিল। কংক্রিটটি পাঁচ ফুট উচ্চতার। এর মধ্যে সাড়ে তিন ফুট মাটির নিচে আছে। আর দেড় ফুট আছে মাটির উপরে।

রেয়াজাত হোসেন দাবি করেন, খুঁটিগুলো পড়ে যাওয়ায় তাদের কোনো দায় নেই। এ ধরনের কাজ তারা আগেও করেছেন। কোনো খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এবারই প্রথমবারের মতো ঝড়ে খুঁটিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং’ এর স্বত্ত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা টিটো বলেন, খবর পেয়ে আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। আমাদের এক বছরের ওয়ারেন্টির মেয়াদ আছে। প্রয়োজনে পাঁচ বছর দেব। আর ক্ষতিগ্রস্ত খুঁটিগুলো রাতের মধ্যেই ঠিক করে দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর