গাইবান্ধায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ও আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে।
রোববার রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত যাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে ৫ বছরের শিশু রয়েছে। নিহত ওই শিশুর নাম মনির মিয়া। এ ছাড়া মারা গেছেন অটোরিকশা চালাক হারেজ উদ্দিন।
হারেজের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশা নিয়ে হারেজ গাইবান্ধা থেকে বালাসিঘাট যাচ্ছিলেন। তার গাড়িতে কোনো যাত্রী ছিল না। ভাসারপাড়া এলাকায় ঝড়ে গাড়ি উল্টে চাপা পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। হারেজের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলায়।
শিশু মনিরের স্বজনরা জানান, তিন গাছ তলা এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় খেলছিল মনির। ঝড়ে ডাল ভেঙ্গে মাথায় পড়লে গুরুতর আহত হয় সে। সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে ঝড়ে আরও ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ময়না বেগম, পলাশবাড়ীর আবদুল গাফফার মিয়া জাহানারা বেগম ও মমতা বেগম এবং ফুলছড়ির শিমুলী আকতার। আতঙ্কে মারা গেছেন সাদুল্লাপুরে আবদুস সালাম সর্দার নামে এক ব্যবসায়ী।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি নেজারত কালেকক্টর (এনডিসি) ফয়েজ উদ্দিন আটজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সদর ছাড়া বাকি ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক মানুষ গাছচাপা পড়ে ও স্থাপনার নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রিশ জনের বেশি আহত নারী-পুরুষ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে আহত অনেককেই।
বিকেল ৩টা থেকে ঝড় হওয়ার পর জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি, দোকানপাটসহ সরকারি স্থাপনা। নষ্ট হয়েছে আমের মুকুল ও আমন ধানের গাছসহ বিভিন্ন ফসল।
জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন নিউজবাংলাকে বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি জেলা প্রশাসক।