সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী সহকারী অধ্যাপক নাসিমা আক্তার জুঁই।
রোববার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এ দম্পত্তি ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অধ্যাপক নাসিমা আক্তার।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর তাদের বড় ছেলে ২৫ বছর বয়সী ওয়াসেক সাত্তার আবীরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। রজধানীর হাতিরঝিলের এক নম্বর ব্রিজের নিচে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে নাসিমা আক্তার জুঁই বলেন, আবীর মালয়েশিয়ার পুত্রামালায় ইউনিভার্সিটির (ইউপিএম) সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয় পড়ত। করোনার কারণে দেশে অবস্থান করছিল সে। গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে যশোর থেকে তিনি ও আবীর ঢাকায় আসেন। ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফোন পেয়ে আবীর ঢাকার ভাড়া বাসা থেকে বাইরে যায়। ওই রাতে ফোনে ছেলে অসুস্থ শুনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন আবীরের মরদেহ।
তিনি আরও বলেন, তিনি হাসপাতালে গিয়ে তার দেবর ফজলুর রহমানের ছেলে ফয়সাল আহমেদ নয়ন ও নয়নের ভগ্নিপতি আবু মুরাদকে সেখানে দেখতে পান। অথচ ওই সময় তাদের সেখানে আসার কথা না। পারিবারিক বিরোধ থাকায় এর আগে তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তারাই আবীরকে হাতিরঝিলে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত আবীরের বাবা সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, আবীরের মৃত্যুর পর হাতিরঝিল থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
পরে তারা আবীরকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে নয়ন ও মুরাদকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু মামলার তেমন অগ্রগতি নেই বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, নাগরিক আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক মাস্টার নূর জালাল, সমন্বয়ক মাসুদুজ্জামান মিঠুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।