ঢাকার সাভারে বংশী নদীতে ভাসমান অবস্থায় সাহিদা আক্তার হ্যাপি নামে এক তরুণীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, প্রেমঘটিত কারণে ওই তরুণীকে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছে তার প্রেমিক বাবু আকন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রেমিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকার বংশী নদী থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে আটক প্রেমিক বাবু আকনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার বাবু আকন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার বাসিন্দা। মৃত হ্যাপি কুরগাঁও এলাকাতেই বাবা-মাসহ বসবাস করতেন ও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা থানার কোলচর গ্রামে।
হ্যাপির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় গত এক বছর ধরে হ্যাপি ও বাবুর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ৩১ মার্চ রাতে হ্যাপি নয়ারহাট এলাকায় বাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি।
পরদিন হ্যাপির বাবা আবদুল কুদ্দুস বেপারী আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে অনুসন্ধানের পর র্যাবের সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কথিত প্রেমিক বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিততে নয়ারহাট এলাকায় বংশী নদী থেকে হ্যাপির বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, হত্যার ঘটনায় আটক বাবুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবু হ্যাপিকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় হ্যাপির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।