বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌ পুলিশের স্পিডবোটের ধাক্কায় জেলে নিখোঁজের অভিযোগ

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:১২

প্রত্যক্ষদর্শী হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে জানান, রাতে ছেলে ফরহাদ হোসেনকে নিয়ে মেঘনায় তিনি চিংড়ি মাছ ধরতে যান। আরেক নৌকায় ছিলেন শামীম ও আব্দুল হক। গজারিয়া নৌ পুলিশের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে অভিযানে যায়। স্পিডবোটটি দ্রুতগতিতে তাদের দুই নৌকায় ধাক্কা দেয়। এ সময় পাশের নৌকাটি উল্টে গেলে পানিতে পড়ে যান শামীম।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরার নৌকা উল্টে এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সময় আরেক নৌকায় থাকা জেলেরা জানান, উল্টে যাওয়া নৌকার আরেক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।

তারা বলেন, নৌ পুলিশের স্পিডবোট নৌকার ওপর উঠে যাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে নৌ পুলিশ।

গজারিয়ার মেঘনা নদীর চর কালীপুরা এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

নিখোঁজ জেলের নাম মো. শামীম। তার বাড়ি উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে জানান, শনিবার রাতে ছেলে ফরহাদ হোসেনকে নিয়ে মেঘনায় তিনি চিংড়ি মাছ ধরতে যান। তার সঙ্গে আরেক নৌকায় ছিলেন শামীম ও আব্দুল হক। গভীর রাতে গজারিয়া নৌ পুলিশের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে অভিযানে যায়। স্পিডবোটটি দ্রুতগতিতে এসে তাদের দুই নৌকায় ধাক্কা দেয়। এ সময় পাশের নৌকাটি উল্টে গেলে পানিতে পড়ে যান শামীম। তার আব্দুল হক সাঁতরে তাদের নৌকায় উঠে যায়।

হারুন জানান, স্পিডবোটের ধাক্কা তাদের নৌকাতেও লাগে। তাদের ক্ষতি হয়নি, তবে স্পিডবোটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পরপরই স্পিডবোট নিয়ে পালিয়ে যায় নৌ পুলিশের দলটি।

নিখোঁজ শামীমের চাচা বাহাউদ্দিন মিয়াজী বলেন, নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গজারিয়া থানায় গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। নৌ পুলিশ সদস্যদের গাফিলতি এবং খামখেয়ালীর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, এ জন্য তাদের বিচার চান তিনি।

স্থানীয় লাখ্যু শেখ নামের এক ব্যক্তি দাবি করেন, ওই স্পিডবোটটি তার। নিউজবাংলাকে তিনি জানান, গত চারদিন আগে অবৈধভাবে জাটকা পরিবহনের অভিযোগে স্পিডবোটটি জব্দ করে গজারিয়া নৌ পুলিশ।

গজারিয়ার এসিল্যান্ড সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্পিডবোটটি নৌ পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছিল।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, শনিবার রাতে কোনো অভিযান চালানো হয়নি।

স্পিডবোটের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর