কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ‘যৌতুকের জন্য’ এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেলে চৌদ্দগ্রামের ধোরখাড় এলাকার ফুলগ্রাম থেকে মর্জিনা আক্তার শাখী নামে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গৃহবধূর বোন তাসলিমা আক্তার ও আঞ্জুয়ারা বেগম জানান, ২০২০ সালের মার্চে পারিবারিকভাবে ফুলগ্রামের প্রবাসী আল মামুন ভূঁইয়ার সঙ্গে মর্জিনার টেলিফোনে বিয়ে হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে মামুন এখনও দেশে আসেননি। বিয়ের পর থেকে মর্জিনা স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ির লোকজন মর্জিনাকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মামুন দেশে এসে এটি সমাধান করবেন বলে মর্জিনার পরিবারকে জানান।
মর্জিনার আরেক বোন তানজিনা আক্তার জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে মর্জিনা মোবাইল ফোনে জানান, যৌতুকের জন্য শাশুড়ি তাকে গালাগাল করেছেন। দুপুরের পর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফোন করে তাদের জানানো হয়, মর্জিনা মারা গেছে। তবে কীভাবে মারা গেছে, তা জানানো হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা মর্জিনার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করলে বাড়ির লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হবে। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে, তিনি অভিমান করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ও গামছা প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ পায়নি। ফ্যানের সঙ্গে গামছা ও ওড়না ঝোলানো ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গৃহবধূর স্বজনদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি জানান, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাবশত হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হামলা হয়নি।