প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা জঘন্যতম কাজ বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত।
হেফাজতের ডাকে গেল রোববার হরতাল ও তার আগের দুই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় মাদ্রসাছাত্ররা। এ সময় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় প্রেস ক্লাবেও। এতে সাংবাদিক নেতাসহ আহত হন তিনজন।
এসব ঘটনায় ২০টি মামলায় ১০৭ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে কোনো মামলায় আসামি করা হয়নি হেফাজতের কর্মীদের।
হামলার প্রসঙ্গ টেনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি রামদা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আবার আপনাদের কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছি, হেফাজতের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্যান্ট শার্ট পরা লোকজনও ছিল। এটা পুরোপুরি একটি অপরিপক্বতার বিষয়।’
হামলার দিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, ‘গাড়ি শহরে ঢুকতেই আটকাচ্ছে। প্রশ্ন করছে কোথায় যাব? কেন যাব? এতটা সচেতন রয়েছে পুলিশ। আর এই পুলিশ কী করে এতো বড় ঘটনার খবর পেল না তা আমার বোধগম্য নয়। আসলে এ বিষয়গুলো খতিয়ে না দেখে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল স্থাপনা প্রদর্শন করব এবং খতিয়ে দেখার পর ঢাকায় আমরা এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করব। ‘প্রেস ক্লাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সাংবাদিকরা জনগণের জন্যই কাজ করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও যে সাংবাদিকরা কাজ করছেন, তাদেরকেই যদি হামলা করা হয় সাধারণ জনগণ তথ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসডিয়াম সদস্য নাঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্র চিন্তার হাসনাত আবদুল কাইয়ূম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমানসহ আরও অনেকে।