রাজশাহীর চারঘাটে এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিজ বাসা থেকেই শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম জহিরুল ইসলাম। চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর গ্রামে তার বাড়ি।
নির্যাতনের শিকার কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা বাদী হয়ে জহিরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই কিশোর শুক্রবার দুপুরে জহিরুলের পুকুরে গোসল করতে যায়। তখন অন্য কয়েকজন পুকুরে মাছ ধরছিল। কিছু সময় পর জহিরুল পুকুর পাড়ে আসেন। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে যায়।
পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে জহিরুল নিজেই সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন।
শনিবার বিকেলে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। ছবি: নিউজবাংলা
পরে ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ওই কিশোরের বাবা বলেন, ‘চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেক গাছে বাঁইধে মারছে। অন্য কেউ মাছ চুরি করতে পারে। কিন্তু আমার ছেলে পুকুরে গোসল করতে গেছিল। তবুও তাক মারধর করছে।’
ওসি জাহাঙ্গীর জানান, শুক্রবার রাতেই মামলা করেছেন কিশোরের বাবা। এ ছাড়া নির্যাতনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় একই মামলায় জহিরুলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।