বরগুনায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক নারী। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তালতলী থানায় বুধবার রাত ১২টার দিকে ওই নারী মামলা করেন। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন মো. সোহাগ, মো. রুবেল, মো. মিজানুর ও মো. জাহিদুল।
মামলায় বলা হয়, বুধবার বিকেলে ভগ্নিপতির সঙ্গে তালতলীর টেংরাগিরি ইকোপার্কে বেড়াতে যান তিনি। ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে ভগ্নিপতি তাকে রেখে পানি কিনতে গেলে অভিযুক্ত চার যুবক তাকে ধর্ষণ করেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাত ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও ভিকটিম এক্সামিনেশন বোর্ডের সদস্য তাসকিয়া সিদ্দিকাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই নারী বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান আছে। অবিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা যতটা সহজ, বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে তা নয়। আমরা তার আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তালতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত শুধু আসামিদের নাম জানতে পেরেছি। তাদের পরিচয় এখনও জানতে পারিনি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। সোর্সদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
জেলা পর্যটন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, ‘এই ঘটনা পর্যটন খাতের জন্য হুমকি। টেংরাগিরি ইকোপার্কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
সংগঠনটির সাধারণ সম্পদক জেলার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে টুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।