কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ১৯ দিনের ব্যবধানে একই স্থানে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুড়ে গেছে মোটর পার্টসের দোকান ও বসতঘর।
উপজেলার সেনানিবাস সংলগ্ন নিশ্চিতপুর এলাকায় হাজী মার্কেটে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, আগুনের ঘটনায় নয়টি দোকান ও নয়টি বসতঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে আবদুল কাদেরের ভাই ভাই মোটর্স নামে ছয়টি দোকান, শফিকুর রহমানের সুফিয়ান মটর্সের একটি ও মো. রাজিবের রাজিব হোন্ডা এ্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টারের দুইটি দোকান পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ছবি: নিউজবাংলা
এ সময় মার্কেটের আগুন পাশে থাকা নয়টি বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ছোট ছোট এই ঘরগুলোতে বাস করতেন ফেরিওয়ালা ও দিন মজুর পেশার মানুষেরা।
আগুনে পুড়ে যায় সোহেলের ঘর। তিনি জানান, কুমিল্লা নগরীতে তরকারি ফেরি করেন। রাতে হঠাৎ আগুন লাগলে কোনো রকম ঘর থেকে বের হন। চোখের সামনে ঘরটি পুড়তে দেখেছেন। দুই ঘণ্টা ধরে পুড়েছে তার ঘরসহ পাশের ৮টি ঘর।
ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই মোটর্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল কাদের বলেন, ‘রাইতের তিনটায় খবর পাইছি যে দোহানো আগুন লাগছে। আগুনে পুইড়া সব শেষ। এর আগের মাসে পাশের মার্কেটে আগুন লাইগ্গা আমার আরেকটা দোহান পুড়ছে।’
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্ত করে আগুন লাগার সঠিক কারণ বের করা হবে।
গত ১৪ মার্চ রাতে পাশের হাজি ম্যানশন মার্কেটে আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৬৫টি মোটরসাইকেল ও মোটরের পার্টস দোকান। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পাশের মার্কেটে আবারও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতবাক ব্যবসায়ীরা। তারা এটাকে নাশকতা কি না সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করার আহ্বান জানান।