কুড়িগ্রামের চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর, জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদ জানাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ফরিদ, চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গয়ছল হক মন্ডল।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ২৮ মার্চ রাত ১০টায় ব্রহ্মপুত্র নদে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চিলমারীর কড়াই বরিশাল চরে অবস্থিত চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আমিনুল ইসলাম কাজী, আঙ্গুর মিয়া, সাদাকাত হোসেনসহ কয়েক শ মানুষ।
এ সময় অফিসে অবস্থান করা চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল জলিল, আকবর আলী, রফিক মিয়াসহ ছয়জনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত করে।’
তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা দুই শতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার, সৌরবিদ্যুতের সরঞ্জামসহ টেবিল, এলইডি টিভি, সিলিং ফ্যানসহ চার লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
ভাঙচুর শেষে তারা জামায়াতে ইসলামের নামে স্লোগান দিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে ভবিষ্যতে এই বাজারে কেউ আওয়ামী লীগের অফিস স্থাপন করতে এলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ চিলমারী মডেল থানায় মামলা হলেও এখনও আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।