বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনে সংঘর্ষ: মেটাতে গিয়ে হামলার শিকার

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৪৫

কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা মীমাংসা করতে শুক্রবার দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে যান আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ। ওই সময় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আজাদ ও তার সমর্থকদের অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়। তাদের উদ্ধারে গেলে হামলা চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে।

মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় দলের প্রার্থীর পক্ষে মীমাংসায় গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তার পক্ষের লোকজন। তাদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে কালকিনি পৌরসভার ঠেংঙ্গামাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে চারজনকে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন জানান, কালকিনি পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। ৩১ মার্চ নির্বাচনের দিনও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।

পুলিশ জানায়, ওই ঘটনা মীমাংসা করতে শুক্রবার দুপুরে হানিফের পক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী মিঠুর এক সমর্থকের বাড়িতে যান আজাদ। ওই সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মিঠুর লোকজন ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আজাদ ও তার পক্ষের লোকজনকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ ছাড়া বাড়ি-ঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। ককটেলের বিস্ফোরণে আহত হন আজাদের পক্ষের কয়েকজন।

পুলিশ আরও জানায়, অবরুদ্ধ অবস্থায় ফোনে তাদের কাছে সহায়তা চায় আজাদের পক্ষ। তাদের উদ্ধারে গেলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ বলেন, ‘আমি দুপুরে কয়েকজন কর্মী নিয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও বিরোধ মিটমাট করতে যাই। হঠাৎ মিঠুর লোকজন আমাদের ধাওয়া করে এবং চারপাশ থেকে বোমা মারা শুরু করে। আমরা তখন ওখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।’

তিনি জানান, হামলায় শামিম হাওলাদার, আবুল হোসেন বেপারী, মুক্তা বেগমসহ তার পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা কালকিনি সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তখন হামলাকারীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে পুলিশের গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে দেয় ও ত্রিপল কেটে ফেলে।

‘আমরা চারজনকে আটক করেছি। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি ও ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে পুলিশ।’

এ বিভাগের আরো খবর