বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ষষ্ঠ ধাপের ২য় পর্যায়ে ভাসানচরে আরও ২১৪৭ রোহিঙ্গা

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৪২

ভাসানচর থানার ওসি মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গাড়ি করে ওয়্যারহাউসে সমবেত করে ব্রিফ করা হয়। পরে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।

নোয়াখালীর ভাসানচরে ষষ্ঠ ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে ২ হাজার ১৪৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী।

শুক্রবার বেলা ৩টায় তারা ভাসানচরে পৌঁছায়। এ সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ভাসানচরে আসার পরপরই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। পরে রোহিঙ্গাদের দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়্যারহাউসে। সেখানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে ধারণা দেন। ওয়্যারহাউসে তাদেরকে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়।

সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ন-৩-এ স্থানান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় (এনএসআই-এর তত্ত্বাবধানে) মোট ২ হাজার ১৪৭ জন রোহিঙ্গা নৌবাহিনীর ছয়টি লজিস্টিক জাহাজে করে চট্টগ্রাম বোটক্লাব জেটি হতে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বেলা ৩টায় এসে ভাসানচরে পৌঁছান।

এদের মধ্যে ৫৪৭ পুরুষ, ৬৩০ নারী ও ৯৭০ জন শিশু।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গাড়ি করে ওয়্যারহাউসে নিয়ে ব্রিফ করা হয়। পরে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ভাসানচরে পৌঁছায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত করা ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়।

গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরও ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা সদস্য ভাসানচরে পৌঁছান। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন।

এর আগে, গত বছরে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভাসতে থাকা দুই ধাপে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

গত ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের প্রথম পর্যায়ে ভাসানচরে এসে পৌঁছায় ১ হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়।

১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে এসে পৌঁছান।

৩ মার্চ পঞ্চম ধাপের প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ২৫৭ জন ও ৪ মার্চ দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছান।

এর আগে, ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়।

২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সব অবকাঠামো নির্মাণ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ষষ্ঠ ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ হাজার ১৪৭ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাসানচরে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, ভাসানচরের আশ্রয় শিবিরে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

এ বিভাগের আরো খবর