বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টানেল ও টাইমমেশিনে বঙ্গবন্ধুর জীবনাবাস

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:০৭

তরুণ সমাজের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাবাসকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরতে ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)। টানেল ও টাইমমেশিনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করে তারা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক সুতোয় গাঁথা।

কিন্তু তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চেনে কেবল পুঁথিগতভাবে। তরুণ সমাজের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাবাসকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরতে ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)। টানেল ও টাইমমেশিনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করে তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চারদিনব্যাপী শুরু হওয়া এমন ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বিএনসিসির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অনাড়ম্বর প্রস্তুতির চিত্র। ১২টি সেগমেন্টে সাজানো টানেলের ভিতর বসানো হয়েছে টাইমমেশিন। যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও ত্যাগের বিষয়টি যে কেউ উপলব্ধি করতে পারবেন নিমেষেই।

টানেলের ভিতর ঢুকতেই কালো কাপড়ে ঘেরা একটি কক্ষে চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও শৈশবের চমৎকার পেইনটিং। প্রযুক্তির কল্যাণে বড় মনিটর আর চশমায় তা উপলব্ধি করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

পর্যায়ক্রমে একেকটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুকে মনে করিয়ে দিতে সাজানো আছে প্রেক্ষাপট। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও বেড়ে ওঠা, ১৯২৭ সালে টুঙ্গিপাড়ায় স্কুলছাত্র, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৯৭১ সালের প্রথম সংবিধান, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, কারাভোগ, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কাল্পনিক দৃশ্যপটের দেখা মিলবে এখানে। সবশেষ ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নৃশংস দৃশ্যও স্বল্প সময়ের জন্য তুলে ধরা হয়েছে।

অংশগ্রহণকারী ক্যাডেট আন্ডার অফিসার আজমীর হাসান জিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ আমাদের মেইন থিম হচ্ছে ‘আমি বঙ্গবন্ধু’। আমরা একটা টানেল তৈরি করেছি। এখানে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ক্যাডেটরা বঙ্গবন্ধু হিসেবে অভিনয় করছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ দিকে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কুচকাওয়াজে যে সমাপনী ভাষণ দিয়েছিলেন আমি সেই অংশটা অভিনয় করেছি। এ ধরনের নতুন একটা কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

প্রদর্শনীর আয়োজক রমনা রেজিমেন্টের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রাহাত নেওয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম এবং শিশু-কিশোরসহ সবারই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি বিশেষ করে যখন আমরা কারও সঙ্গে কথা বলি। দেখি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তারা জানে না।’

বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার সময়ে বড় পরিসরে আমরা এটা করতে পারছি না। কিন্তু পরবর্তীতে সুযোগ পেলে আমরা করব। যেখানে স্কুল-কলেজের বাচ্চারা এসে এটা দেখতে পারবে। আর পরবর্তীতে যদি সরকার চায় তাহলে এটা বিএনসিসি ক্যাডেটদের মাধ্যমে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে দেব।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রদর্শনী দেখে আমি অভিভূত। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানবে এবং শিখবে।’

এ বিভাগের আরো খবর