বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বুড়িমারী বর্বরতা: আত্মগোপনে থাকা ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২১ ১০:০৩

ডিবির ওসি জানান, হাফিজুল হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনে ছিলেন। তবে তাকে পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় আত্মগোপনে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি ও থানা পুলিশ।

বুড়িমারী বাজার থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হাফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে এই ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, হাফিজুল হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনে ছিলেন। তবে তাকে পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিকেলে হাফিজুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজেই মীমাংসার চেষ্টা করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনার পরদিন থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

এদিকে পাটগ্রামের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহারের দায়িত্ব পালনে অবহেলা ছিল কি না সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

সেখানে বর্তমান ইউএনও রামকৃষ্ণ বর্মণ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবেল রানা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নেওয়াজ নিশাত, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মাসুদুর রহমান মাসুম, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলামসহ ১২ জন জেলা প্রশাসক আবু জাফরের সামনে সাক্ষ্য দেন।

এর আগে বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় এ তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পুনরায় ঘটনাটির বিষয়ে আরও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার।’

শহীদুন্নবী জুয়েলের বাড়ি রংপুরের শালবন এলাকায়। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান ছিলেন।

বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫০ বছর বয়সী জুয়েলকে। পরে তার দেহে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

ঘটনার সময় শহীদুন্নবী জুয়েলের সঙ্গী ৫১ বছর বয়সী সুলতান জোবায়ের আব্বাসও আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তখন তিনটি মামলা হয়।

তিন মামলায় ১১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ৪৮ জনকে, আত্মসমর্পণ করেছে ১২ জন। আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ছয়জন।

এ বিভাগের আরো খবর