বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সকালে সংঘর্ষের পর রাতে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:৩৪

বরগুনা সদরের এই ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকালেই ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদের নৌকার প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আটকও করা হয়েছে একজনকে। এরপর রাতে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হয়েছেন ইউপি সদস্য পনু মিয়া।

বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য পনু মিয়াকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শহীদুল ইসলাম।

পনু মিয়া আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নৌকা প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর সমর্থক বলে দাবি করা হয়েছে।

এই ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকালেই ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদের নৌকার প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আটকও করা হয়েছে একজনকে।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজমল হুদা মিঠু নিউজবাংলাকে জানান, নৌকার পক্ষে প্রচার শেষে মধ্য পাকুরগাছিয়া এলাকায় সালামের চায়ের দোকানে বসেছিলেন পনু মিয়া। এ সময় ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সমর্থক আকাইদ হোসেন ঠান্ডা, মোতাহার মৃধা, নিজাম গাজী, আলাম গাজী, মাজেদ ফকির ও জুয়েলসহ ১০ থেকে ১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পনুর ওপর হামলা চালায়।

মিঠু বলেন, তারা পনুকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। বরগুনা থানা পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নৌকার প্রার্থী মজিবুল হক কিসলু অভিযোগ করেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফের সমর্থকরা পনুকে কুপিয়েছে। এর আগে সকালে ইউনিয়নের পুর্ব কেওড়াবুনিয়ায় আমার সমর্থকদের দোকানপাট ভাঙচুর ও মারধর করে আহত করেছে। এরপর সন্ধ্যায় গিয়ে পনুকে কুপিয়েছে। মোশাররফের তাণ্ডবে এলাকার মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত। তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা জরুরি।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোশাররফ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি। পরে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, কারা এই হামলা করেছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকালের সংঘর্ষে আটক করা হয় একজনকে

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরগুনায় কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত। আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকালের সংঘর্ষে আহত হন একজন।

স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর পক্ষে প্রচারে নামেন বর্তমান চেয়ারম্যান আশশাকুর রহমান ফিরোজ। পাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওরাবুনিয়া এলাকায় পৌঁছালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের মামাতো ভাই ফয়সাল দলবল নিয়ে তার উপর হামলা করেন। এতে ফিরোজ আহত হন।

এ ঘটনার পর মোশাররফের সমর্থকরা ওই গ্রামের একটি বাজারে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের দোকান ভাঙচুর করেন। পরে নৌকার সমর্থকরাও সংঘবদ্ধ হয়ে সেখানে পৌঁছালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও দেশীয় অস্ত্রসহ মিলন নামের এক যুবককে আটক করে। তার বাড়ি কেওড়াবুনিয়া গ্রামে।

এ বিষয়ে মজিবুল হক কিসলু বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ‘মোশাররফের লোকজন বর্তমান চেয়ারম্যানসহ আমার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালান। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

জবাবে তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ বলেন, ‘চেয়ারম্যান ফিরোজের নেতত্বে নৌকার লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছি।’

এর আগে বুধবার (৩১ মার্চ) বুধবার দুপুরে বামনার সোনাখালী বাজারে বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১৮ জন।

নৌকা-স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয় বামনা বাজার

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহরম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা সোহেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল, ধারালো চাকু, একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বামনা থানায় পুলিশের করা অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল সিকদার ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগসহ ২০ জনকে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর