বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের শাষন গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
তার নাম আসাদ শেখ। তা ছাড়া নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত আসাদ শেখ ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও তালা প্রতীকের প্রার্থী মামুন শেখের চাচা।
তিনি নিহত হওয়ার পরপরই দুই পক্ষের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের এ সংঘর্ষ হয়।
মোরগ প্রতীকের প্রার্থী কিবরিয়া শরীফ জানান, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। বর্তমান মেম্বর মামুনের লোকজন আমার নেতা-কর্মীদের ওপরে হামলা করে। আমার নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের অনেক লোক আহত হয়েছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মামুন শেখ বলেন, ‘কিবরিয়া শরীফ ও তার লোকেরা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও আমার কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। কেন এসব করছে, তা জানতে চাইলে কিবরিয়ার লোকেরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার চাচা আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর আমার চাচা মারা যান। আমি এর বিচার চাই।’
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির জানান, পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট ও গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।