ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নারায়ণগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় আকবর হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া, ওই দিন গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সদরের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকা থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। তার বারি বাগমারা এলাকায়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, পুলিশের করা পাঁচটি মামলার মধ্যে একটি মামলার আসামি আকবর। তাকে শুক্রবার আদালতে নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, মহাসড়কে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বুধবার রাতে আরও দুটি মামলা করেছে গাড়ির দুই মালিক। পুলিশ মামলাগুলোর অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড় থেকে শিমরাইল এলাকা পর্যন্ত হরতালের নামে সহিংসতা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ছয়টি মামলা করে। পুলিশের করা প্রতিটি মামলায় ২০ থেকে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের পাঁচটি, র্যাবের একটিসহ ছয়টি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছে দুই হাজারের বেশি।
মামলায় পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা, সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা, জনগণের জানমালের ক্ষতি, নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়।
গত রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড় থেকে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত রোববার ভোর ৬টা থেকেই অবস্থান নেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। আশপাশের কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে দলবেঁধে আসে ছাত্ররা। দুপুরের পরে যোগ দেয় তাদের সমর্থকরাও।
সকাল ৭টার দিকে টায়ার ও গাছের গুঁড়ি জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে ঢাকা থেকে কোনো গাড়ি এই পথ দিয়ে কাঁচপুর ব্রিজ পার হয়ে চট্টগ্রাম বা অন্য কোনো গন্তব্যে যেতে পারেনি।
সারা দিনে এই এলাকায় গাড়ি পোড়ানো হয়েছে ৬টি, ভাঙচুর করা হয়েছে ৫০টির বেশি। বাদ যায়নি অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়িও।
গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে আরও ব্যাপক। ‘সঠিক নিউজ প্রচার হচ্ছে না’ দাবি তুলে সাংবাদিক দেখলেই হামলে পড়েছে হেফাজত কর্মীরা।