প্রায় নয় বছর ধরে প্রতিদিন ৪৫ জন শ্রমিক একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন মসজিদটি। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই কর্মযজ্ঞ শেষ হওয়ার আগেই মারা গেছেন এর প্রতিষ্ঠাতা। অবশেষে মসজিদটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
জুমার নামাজের মাধ্যমে শুক্রবার আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।
দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের অবস্থান সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়কের বেলকুচি পৌর সদরে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুকুন্দগাতী গ্রামের শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী সরকার এক একর জায়গার ওপর ছেলে আল-আমান ও মা বাহেলা খাতুনের নামে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অর্থের জোগান দিয়েছেন তিনি নিজেই। গত বছরের আগস্ট মাসে তার মৃত্যু হয়।
মসজিদের খাদেম আব্দুল মান্নান নিউজবাংলাকে জানান, এই মসজিদে ছাই রংয়ের বিশাল আকৃতির মনোরম একটি গম্বুজ রয়েছে। মেঝেতে বসানো আছে সাদা রঙের টাইলস, পিলারগুলো ইতালি ও ইন্ডিয়া থেকে আনা মার্বেল পাথর জড়ানো। তৃতীয় তলায় গম্বুজের সঙ্গে চায়না থেকে আনা একটি ঝাড়বাতি আছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় ঝাড়বাতি লাগানো হয়েছে। মসজিদ চত্বরে আছে পরিকল্পিতভাবে লাগানো ঘাস।
মসজিদ নির্মাণের মূল দায়িত্বে থাকা ওয়াজেদ আলী জানান, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের থাকার জন্য মসজিদের পাশে ১০ তলা ভবনে নিজস্ব কোয়ার্টার আছে। সেই সঙ্গে আছে পাঠাগার।
তিনি আরও জানান, এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় সাত হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন।
বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল জানান, প্রথম দেখাতেই মসজিদটি যে কারো নজর কাড়ে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এর নির্মাণশৈলি বিশেষ আকর্ষণের বিষয়। অনেকেই এটি দেখতে আসছেন।
প্রতিষ্ঠাতার ভাগ্নে আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আল্লাহর ঘর নির্মাণে আমরা কাজ করেছি। মানুষ শান্তিতে নামাজ পড়বে, তাতে আমার মামার আত্মা শান্তি পাবে। তবে মামা বেঁচে থাকলে, এখানে নামাজ পড়তে অনেক বেশি ভালো লাগত।’