বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ: কনের বাবাসহ থানায় ২

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ২১:১৬

বুধবার সন্ধ্যার পর সুবিল ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের প্রবাসী মো. জাকির হোসেনের মেয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান চলছিল। তাতে যোগ দেন পাশের মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর গ্রামের কিছু যুবক। তারা অনুষ্ঠানে আসা কয়েকজন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। বিষয়টি নজরে পড়লে বিয়েবাড়ির লোকজন তাদের বাধা দেন।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কনের বাবা জাকির হোসেন এবং তার প্রতিবেশী জীবনপুর গ্রামের বাছির মিয়াকে থানায় নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে দেবিদ্বার থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এর আগে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে ইনসাফ মার্কেটের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি আরিফুর জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর সুবিল ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের প্রবাসী মো. জাকির হোসেনের মেয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। তাতে যোগ দেন পাশের মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর গ্রামের কিছু যুবক। তারা অনুষ্ঠানে আসা কয়েকজন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। বিষয়টি নজরে পড়লে বিয়েবাড়ির লোকজন তাদের বাধা দেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের সঙ্গে গুঞ্জর গ্রামের যুবকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জুলহাস মিয়া এসে সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি নাচগান বন্ধ করার কথা বলে তিনি চলে যান।

এ ঘটনার পরে গুঞ্জর গ্রামের যুবকরা তাদের এলাকায় খবর দিলে আরও কিছু কিশোর-তরুণ আসেন। আব্দুল্লাহপুর গ্রামের যুবকরাও ঐক্যবদ্ধ হন। পরে বিয়েবাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে ইনসাফ মার্কেটের সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

ঘটনাস্থলেই ১৯ বছরের ফাহিম হাসান নিহত হন। তার বাড়ি গুঞ্জর গ্রামে এবং সে কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার সময় পথে দেবীদ্বার উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ২০ বছরের মো. সাইফুল মারা যান।

আহতরা হলেন- গুঞ্জর গ্রামের ১৬ বছর বয়সী আক্তার হোসেন, ২০ বছর বয়সী মামুনুর রশিদ, ১৩ বছর বয়সী মো. সজিব। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহতদের স্বজনরা জানান, তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

জাকির হোসেনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, ‘বুধবার ছিল আমার মেয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বরযাত্রী আসার কথা ছিল, কনে নিয়ে যাবে। গত রাতের ঘটনায় সব শেষ। পুলিশ এসে সব আয়োজন বন্ধ করে দিয়ে আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে।’

ফাহিমের বাবা আবু হানিফ বলেন, ‘আমার ছেলেকে বিয়েবাড়িতে আনন্দ করতে নিয়ে গিয়েছিল তার বন্ধু সাইফুল। সাইফুলও মারা গেল, সঙ্গে আমার ছেলেও। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

দেবীদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় এনেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহরিয়ার আলম মিয়াজী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর