দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন পৌর মেয়র।
সেতাবগঞ্জ পৌরসভা হলরুমে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন পৌর মেয়র আব্দুস সবুর।
লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র বলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ভরত চন্দ্র রায় ও সহকারী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন মিয়া তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেন না।
তাদের অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সময়মতো শেষ করতে পারেননি ঠিকাদারেরা। এমনকি কয়েকটি কাজের ওয়ার্ক অর্ডারও সময়মতো না দেয়ার কারণে পৌরবাসীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
অপর দিকে আরবান প্রকল্পের অধীনে পাঁচটি প্যাকেজের ১২টি উন্নয়নকাজের জন্য তিন মাস আগে ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দে এলেও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী আজ পর্যন্ত টেন্ডার আহ্বান করেননি।
পৌরবাসীর সার্বিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রকৌশলীদের সেতাবগঞ্জে অবস্থান করার কথা থাকলেও তারা বাইরে অবস্থান করেন। অফিস করেন নিজেদের খেয়ালখুশিমতো। গত বছর করোনার সময়ে তারা প্রায় দুই মাস অফিস করেননি।
তাদের খেয়ালখুশিমতো কাজ করার কারণে পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের অন্যত্র বদলির জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবিলম্বে তাদের অন্যত্র বদলি করার আহ্বান জানান পৌর মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার অন্যান্য কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সেতাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ভরত চন্দ্র রায় ও সহকারী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সত্য নয়। পৌরসভায় সরকারের সব ধরনের উন্নয়ন কাজ বিধি মোতাবেক চলছে। কোনো কাজের বিষয়ে স্বেচ্ছাচারিতা বা গাফিলতি করা হচ্ছে না।