বরগুনার বামনা উপজেলার বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যান পদের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল সিকদারসহ ২০ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বামনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাসেল মজুমদার এই আদেশ দেন।
বুধবার রাতে ওই ২০ জনকে আটক করা হয়। রাত দেড়টার দিকে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনার বামনা থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সরোয়ার বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন বামনা সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল সিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগ, সোহেলের সমর্থক রাফান জোমাদ্দার আকাশ, রাজ্জাক মল্লিক, সিদ্দিক ভুইয়া, শাওন, নিরু মল্লিক, শাহজাহান মল্লিক, আলমগীর, ইমরান, সোহাগ, হাসান, বাদল, রফিক, ইলিয়াস, বাবুল, ফয়সাল, হাসিব, আবু জাফর এবং হানিফ।
ওসি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে জনমনে ভীতি ছড়ানোসহ আসামিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশারকে।
বুধবার বেলা ২টার দিকে বামনা-পাথরঘাটা মহাসড়কে সোনাখালী বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহলে সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৮ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহরম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা সোহেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সারঞ্জাম, বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল, ধারালো চাকু, একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।