নেত্রকোণার পূর্বধলার একটি কওমি মাদ্রাসায় ইসলামি সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
বুধবার উপজেলা সদরের হিড়িভিটা মফিজিয়া তা’লিমুল কোরআন নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ইসলামি সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। সংঘর্ষের পর সম্মেলন বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে জানান, মাদ্রাসায় আধিপত্য নিয়ে হিড়িভিটা গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ ও দুলাল তালুকদারের সঙ্গে মাদ্রাসার পরিচালক উমর ফারুকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
মাদ্রাসার বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে ইসলামী সম্মেলন স্থগিতের দাবিতে গত ২৯ মার্চ দুলাল তালুকদার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। এর মধ্যেই বুধবার বিকালে সভা শুরু হলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই পক্ষের আটজন আহত হন। আহতদের পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ উমর ফারুকের অভিযোগ, আজাদের পক্ষের লোকজন সভা পণ্ডের চেষ্টা চালালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে তার পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক, খোরশেদ আলী ও মমিন মিয়া আহত হন।
আজাদ জানান, মাদ্রাসাটি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছে।
তিনি কোনো পক্ষে নেই দাবি করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি একটি পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় অপর পক্ষ তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ মো. জালাল মিয়া, আবু সায়েম, টিপু সুলতান, কামাল মিয়া আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আবু সায়েমকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুম জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় মাদ্রাসাটির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।