বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ ও স্বতন্ত্র সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বামনা

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৪৭

বামনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করানো হয়। চালানো হয় গুলি।

বরগুনার বামনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী দলের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান সগীরের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সোহেল সিকদারের সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন জানান, দুপুর ২টা থেকে দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই সময় ২০টির মতো ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ছোড়া হয় গুলি।

পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, চাকু, ককটেল ও বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল সিকদার ও তরিকুজ্জামান সোহাগসহ ২০ জনকে।

উদ্ধার করা পিস্তল

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ আমতলী গ্রামে নৌকার সমর্থক রহিম হাওলাদারের বাড়ির সামনে বেলা ১টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণ হলে সেখানে যান উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফেরার পথে সোনাখালী বাজারে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ের দোতলা থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর ককটেল ছোড়া হয়। এতে হৃদয় দাশ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর জখম হন।

তারা আরও জানান, এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুজ্জামান সগীর নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই স্থানে যান। পরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

খবর পেয়ে বামনা থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে বরগুনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরমের নেতৃত্বে রিজার্ভ ফোর্স ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাব্বির ফেরদৌস তালুকদার, সাংগঠনিব সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত কর্মকার, মানিক কুমার পঙ্কজ, ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় দাস, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজিব হোসেন আব্দুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও সংবাদকর্মী ফয়সাল সিকদার।

তাদের মধ্যে হৃদয়কে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুজ্জামান সগির বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মীদের ওপর ককটেল নিক্ষেপের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে হতবাক হয়ে গেছি। আমাকে লক্ষ্য করেও বেশ কয়েকবার ককটেল ছোড়া হয়েছিল।’

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেলের নির্বাচনি কার্যালয় থেকে পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ বেশ কয়েকটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনটি থেকে আটক করা হয়েছে ২০ জনকে।

বরগুনার পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) তারেক রহমান জানান, হামলায় ব্যবহৃত পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ককটেল ও অন্যান্য আলামতও জব্দ করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর