গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল’ প্রজ্বালন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এ মশাল প্রজ্বালন করেন। পরে মশালটি ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবারই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বড় কোনো ক্রীড়াভিত্তিক আসরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হলো।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ মশাল প্রজ্বালনের পর তা ফুটবলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস হোসেন ও সাবেক ভলিবল খেলোয়াড় জেসমিন খান পপির হাতে মশাল তা তুলে দেয়া হয়। এরপর বেলুন উড়িয়ে তারা যাত্রা শুরু করেন।
এরপর বিভিন্ন স্থানে ১০টি ভাগে ভাগ হয়ে মশাল বহন করেন ২০ জন ক্রীড়াবিদ। মশালটি টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে মাওয়া ফেরিঘাট হয়ে প্রথমে যাবে বিওএ-র কার্যালয়ে।
সেখান থেকে গেমসের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেয়া হবে বলে জানা গেছে। এ মশাল বহনে অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত সাবেক খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস্ ২০২০-এর টুঙ্গিপাড়া কর্মসূচীর কো-অর্ডিনেটর এম বি সাইফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এই গেমসের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে এবং এখান থেকেই এই গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করে এর শুভ সূচনা করা হলো।’
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস দেশের সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুতে হবে। এই ক্রীড়াযজ্ঞে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৫ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ ১ হাজার ২৭১টি পদকের জন্য লড়বেন। এর মধ্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক রয়েছে ৩৭৮টি।
তবে করোনা মহামারির প্রকোপ মাথায় রেখে খোলোয়াড়দের কোভিড টেষ্টসহ নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস্ ২০২০-এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।