সরকারি কাজে বাধা দেয়া, পুলিশকে মারপিট ও জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে নওগাঁয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
দুই মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বুধবার নওগাঁ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান মামলা দুটি করেন।
এজহারে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দুটি হয়েছে। দুই মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ জেড রফিকুল ইসলাম ও মহাদেবপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম বুলেট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মামলার পর দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মাস্টার বলেন, মঙ্গলবার দলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বিনা উসকানিতে বাধা দেয়। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় তিনিসহ অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত ১১জন নিহত হন।
এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয় কেডির মোড়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হন।