বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জরাজীর্ণ সাইক্লোন শেল্টার, দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাসিন্দাদের

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ২০:০৮

প্রায় ৬০ বছরের পুরনো ভবনটি অযত্ন আর অবহেলায় বর্তমানে পরিণত হয়েছে মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা আর শৌচাগার হিসেবে। জরাজীর্ণ এই ভবনটির পূর্বপশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে বসবাসকারী বাসিন্দারাও রয়েছেন চরম আতঙ্কে। ভবনটি যেকোনো সময় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।  

দরজা নেই,জানালা নেই। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। খুঁটির ইট-সুরকিও খসে পড়েছে। রড বেরিয়ে আছে অনেক জায়গায়।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া এলাকায় নোনাছড়ি কমিউনিটি সেন্টার মাঠের এক পাশে দাড়িয়ে থাকা এই জরাজীর্ণ ভবনটি হলো একটি সাইক্লোন শেল্টার।

বিভিন্ন সময় ঘটা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহেশখালীর বাসিন্দাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এই ভবনটি।

প্রায় ৬০ বছরের পুরনো ভবনটি অযত্ন আর অবহেলায় বর্তমানে পরিণত হয়েছে মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা আর শৌচাগার হিসেবে।

জরাজীর্ণ এই ভবনটির পূর্বপশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে বসবাসকারী বাসিন্দারাও রয়েছেন চরম আতঙ্কে। ভবনটি যেকোনো সময় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৬৩ সালে। কিন্তু নির্মাণের ২২ বছরের মধ্যেই ১৯৮৫ সালে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এই ভবন। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানা প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড়ের সময়ও ব্যবহার অনুপযোগী ছিল আশ্রয়স্থলটি।

এরপর নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন চেয়ারম্যান ওসমান গনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেন ভবনটিকে। পরবর্তীতে এই ভবনে কয়েকবার স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এখন জরাজীর্ণ এই ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী।

স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনের আশেপাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের পাশাপাশি ভবন ঘেঁষে চলাচলকারী পথচারীরাও রয়েছে ধস আতঙ্কে।

ভবনের সামনের অংশে থাকা বিশাল খালি মাঠে প্রতি সপ্তাহে দুদিন পানের হাট বসে। এ উপলক্ষে ওই দুদিন সেখানে শত শত মানুষ জমায়েত হয়। এ সময় যদি ভবনটি ধসে পড়ে তা হলে বহু মানুষের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ জন্য এলাকাবাসীর চাওয়া এই ভবনটি ভেঙে পুনরায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হোক।

মহেশখালীর বাসিন্দা এস এম রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তখন সবার টনক নড়ে। প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনের সামনে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে। এ ছাড়া সপ্তাহে দুদিন করে বসে হাট। ভেঙে পড়লে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে। তাই ভবনটি ভেঙে অচিরেই নতুন সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।’

স্থানীয় নোনাছড়ি বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৩০ বছর ধরে ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এটা ভাঙতে উপজেলা প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’

এ ব্যপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন,‘এখানে আমি এসেছি মাত্র চার মাস, এ জন্য এ বিষয়ে আমি এখনো অবগত নই। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবনটির পুনর্নির্মাণ চেয়ে আবেদন করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর