বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধ্বংসযজ্ঞ দেখে হতবাক প্রতিমন্ত্রী খালেদ

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৮:৫৯

‘সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালায়। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে পারে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বারবার হামলা চালায় তারা। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে সব।’

গত শুক্র ও রোববার হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিস্থিতি দেখে বিস্মিত হয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা তো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে সব।’

বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী, যার একটি সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন।

গত রোববার উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সঙ্গীতজ্ঞের স্মৃতি রক্ষায় তৈরি স্থাপনাটিতে হামলে পড়েন হেফাজতের কর্মীরা। তার ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্রের পাশাপাশি পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয় নানা জিনিসপত্রে। এতে পুরোপুরি পুড়ে যায় সেটি।

এবারই প্রথম না, ২০১৬ সালেও এখানে একইভাবে হামলা চালিয়েছিলেন মাদ্রাসার ছাত্ররা। তখনও ভাঙচুরের পাশাপাশি দেয়া হয় আগুন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেভাবেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।’

আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে হামলার প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালান। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে পারে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বারবার হামলা চালান তারা। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হননি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছেন সব।’

গত শুক্রবার শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার ছাত্রের মিছিল বের হয়। তারা শহরের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে আগুন দেন। এরপর তারা আগুন দেন শহরের রেলস্টেশন, আনসার ক্যাম্প, মৎস্য অধিদপ্তরে। হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হন।

শনিবারও মহাসড়ক অবরোধ করেন মাদ্রাসাছাত্ররা। তখন পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হলে প্রাণ হারান পাঁচজন।

রোববারের হরতালে হামলা ছিল আরও ব্যাপক। বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সবগুলো স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেয়া হয় আগুন।

হামলা চলে পৌরসভা কার্যালয়, সদর উপজেলার ভূমি কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, গণগ্রন্থাগার, সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন ও মিলনায়তন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের অফিস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি এবং সরাইলের খাটিহাতা হাইওয়ে থানায়।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘বিশ্বাস করা যায় না এমন ধ্বংসযজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা চালিয়েছে। যেসব স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে, আমরা সেগুলো পুনরায় নির্মাণ করব। যারা এ ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

এ বিভাগের আরো খবর