সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে বুধবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অটোরিকশাচালক ছাড়া নিহত অন্য দুইজন মা-মেয়ে।
নিহতরা হলেন জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার পূর্ব চাশনীকাপন গ্রামের রাহেলা বেগম, তার মেয়ে কামরুন্নাহার শিপা এবং ওসমানীনগরের কুরুয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক শামীম মিয়া।
মরদেহগুলো উদ্ধারের পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেট অংশে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানিও নিয়মিত। এরমধ্যে গত ২৬ মার্চ এই মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলারই রশিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত হন ৮ জন। বুধবারের দুর্ঘটনার ব্যাপারে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে লালাবাজারে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন মারা যান।
দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা
নিহতরা অটোরিকশার যাত্রী এ তথ্য জানিয়ে ওসি বলেন, লাশগুলো ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন অটোরিকশা চালক ও বাকিদজন মা-মেয়ে বলে জানতে পেরেছি। তবে তাদের পুরো নাম-ঠিকানা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ঘনঘন দুর্ঘটনা সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ মাসুদ করিম বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই মহাসড়কে অটোরিকশাসহ অনেক ছোট যানবাহন চলে। এ ছাড়া অনেক গাড়ির কাগজ নেই, চালকদের লাইসেন্স নেই। চালকরা অপ্রশিক্ষিত ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। যারা আইন জানে তারাও মানতে চায় না। আবার নির্ধারিত ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ও পণ্য নিয়ে চলাচল করে অনেক গাড়ি- এসব কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।তিনি বলেন, এই সড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে রাতের বেলা বা ভোরে। দিনে পুলিশের নজরদারির কারণে গাড়ির গতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু রাতে পুলিশের টহল সীমিত হয়ে আসে। এতে চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।