বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গলা কেটে হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৭:৫৮

২০১৯ সালের ১ মার্চ রাত ১০টার সময় রিক্তা বেগম আমিনুলের বড় ভাই শহীদুল ইসলামকে ফোন করে জানান, আমিনুলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার ফোন বন্ধ। ২ মার্চ রাত ৯টার দিকে সোনারগাঁয়ের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় থেকে একটি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেই মরদেহের ছবি দেখে আমিনুল ইসলাম বলে শনাক্ত করেন শহীদুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পোশাক কারখানার শ্রমিক আমিনুল ইসলাম কালু হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে চার আসামির উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন রেজাউল করিম পলাশ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন রিক্তা বেগম, ইমরান হোসেন ও মাসুম। এর মধ্যে রিক্তা বেগম আমিনুল ইসলামের স্ত্রী।

অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাসমিন আহম্মেদ নিউজবাংলাকে জানান, পোশাকশ্রমিক আমিনুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে রেজাউল করিম পলাশ নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আরেকটি ধারায় আদালত তাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার অপর তিন আসামি নিহতের স্ত্রী রিক্তা বেগমসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

জাসমিন আহম্মেদ আরও জানান, নিহত আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রিক্তা বেগম সোনারগাঁয়ে একটি মেস চালাতেন। তাদের মো. ইব্রাহিম নামে সাত বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। রেজাউল করিম তাদের মেসে থাকতেন। একপর্যায়ে রেজাউল করিমের সঙ্গে রিক্তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আমিনুল তাদের মেসে রেজাউল করিমকে থাকতে বারণ করে দেন।

২০১৯ সালের ১ মার্চ রাত ১০টার সময় রিক্তা বেগম আমিনুলের বড় ভাই শহীদুল ইসলামকে ফোন করে জানান, আমিনুলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার ফোন বন্ধ।

২ মার্চ রাত ৯টার দিকে সোনারগাঁয়ের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় থেকে একটি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেই মরদেহের ছবি দেখে আমিনুল ইসলাম বলে শনাক্ত করেন শহীদুল ইসলাম।

পরে শহীদুল ইসলাম রিক্তা বেগমসহ চারজনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় আদালতে। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর