বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূ হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৬:৫১

মামলার এজাহার অনুযায়ী, কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা ও শ্যালক মোজাম্মেল হকের  টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জেরেই আসামিরা ২০০৯ সালের মে মাসের ৮ তারিখে আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সিদ্দিকা বেগমকে পিটিয়ে জখম করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মাইজহাটি এলাকার বাসিন্দা মো. মোজাম্মেল হক (৪০), মোজাম্মেল হকের স্ত্রী মোছা সাজেদা খাতুন (৩৫) ও মোজাম্মেলের বন্ধু মো. কামরুজ্জামান (৩২)।রায় ঘোষণার সময় মোজাম্মেল ও তার স্ত্রী সাজেদা উপস্থিত থাকলেও কামরুজ্জামান পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা ও শ্যালক মোজাম্মেল হকের টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয়। একই কারণে ২০০৯ সালে ৮ মে দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। এ জেরেই আসামিরা ওই দিন সন্ধ্যায় আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সিদ্দিকা বেগমকে পিটিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরদিন আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১০ সালের ৭ আগস্ট তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলার বিচারকাজ চলার সময়ে দুই মাস আগে আসামি আশাবউদ্দীন (৬০) এর মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি জীবন কুমার রায় নিউজবাংলাকে জানান, বাদীপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট। তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল বুখারি জানান, এ রায়ে আসামিপক্ষ ন্যায়বিচার পায়নি। আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে গেলে ন্যায়বিচার পাবেন বলে মনে করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর