বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহরজুড়ে কুকুরের উপদ্রব

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ০০:৫৯

বরগুনা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল বাবু জানান, ভোরে ও রাতে বেশি তাড়া করে কুকুর। বিশেষ করে ভোরবেলায় হাঁটতে নামা লোকজনকে আক্রমণ করে। এ ছাড়া পথচারীদের ওপর আচমকা আক্রমণ করে তারা।

বরগুনা পৌরশহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আশঙ্কাজনকভাবে কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পৌর কাউন্সিলরসহ স্থানীয় লোকজন।

পৌরসভা ভবনে স্বাস্থ্য বিভাগের এক সভায় তারা এ অভিযোগ করেন। তারা জানান, গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ অন্তত পাঁচজনকে কামড়িয়েছে কুকুর। অনেকে হয়েছেন ধাওয়ার শিকার।

সভায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সোহরাব উদ্দীন জানান, গত রোববার কুকুরের কবলে পড়েন তিনি। ভোরে হাঁটতে বের হলে তাকে ধাওয়া করে পায়ে কামড় দেয়।

সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হয়েছেন পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দারা।

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর আরাফাত জামান তুষার বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে কুকুরের উপদ্রব চরমে। রাত-বিরাতে পথচারীদের তাড়া করে এসব কুকুর। বেশ কয়েকজনকে ধাওয়া করে অন্তত তিনজনকে কামড় দিয়েছে।’

শিগগিরই শহরের কুকুরগুলোকে জলাতঙ্কের টিকা দেয়া না হলে এলাকাবাসী আরও আক্রমণের শিকার হবেন বলে আশঙ্কা তার।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল জাহিদুল করিম বাবু জানান, ভোরে ও রাতে এসব কুকুর বেশি তাড়া করে। বিশেষ করে ভোরবেলায় হাঁটতে নামা লোকজনকে আক্রমণ করে। এ ছাড়া পথচারীদের ওপর আচমকা আক্রমণ করে তারা। এ নিয়ে তার এলাকার নারী-শিশুরা ভয়ের মধ্যে আছে।

শহরের পশুপ্রেমী মুশফিক আরিফ বলেন, ‘এই মৌসুমে সাধারণত কুকুর পাগল হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এ জন্য স্ট্রিট ডগ বা রাস্তার কুকুরদের দ্রুত টিকার আওতায় আনা জরুরি।’

বরগুনার সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান জানান, বছরের এই মৌসুমে পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যায়। গত বছর করোনার কারণে টিকা প্রয়োগ না করায় উপদ্রব বেশি। শহরের কুকুরগুলোকে দ্রুতই জলাতঙ্ক টিকার আওতায় আনা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর