কুমিল্লার মুরাদনগরে পাঁচ বছরের শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা নিতে গিয়ে সোমবার গ্রেপ্তার হয়েছেন চারজন।
তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণের ৩৮ দিন পর উপজেলার বোড়ারচর গ্রাম থেকে আবদুর রহমান নামের ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন শিশুটির ফুফু শিরিন আক্তার, ফুফা নাজমুল হাসান, বোড়ারচর গ্রামের মো. ময়নাল ও রবিউল হাসান।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার গাংগাটিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। শিশুটির বাবা ফারুক মিয়ার মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ওই ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর ফারুকের মোবাইল নম্বর থেকে তার স্ত্রীর নম্বরে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে ফারুক বিষয়টি পুলিশকে জানান।
পুলিশ জানায়, অপহরণকারীদের সঙ্গে ৪ লাখ টাকায় রফা হয়। সোমবার রাতে বোড়ারচর গ্রামের পাশে মুক্তিপণের টাকা আনতে গেলে দলের প্রধান ময়নালকে জাপটে ধরেন এসআই হামিদ। ওই সময় দলটির অন্য সদস্যরা হামিদের পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তাদের হামলায় রুবেল নামের একজন কনস্টেবলও গুরুতর আহত হন। পরে ময়নালের পায়ে গুলি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দলটির অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে অপহরণকারী দলের সদস্যদের হাতে তুলে দেন ফুফু শিরিন আক্তার।
মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ময়নালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার আরেকটি মামলা হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।